![]() |
ঢাকা থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মিত হলে একদিকে যেমন বেঁচে যাবে কুড়িগ্রামবাসীর যাতায়াত সময় এবং অর্থ, পাশাপাশি গতি পাবে সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রমও........ ছবি: সংগৃহীত। |
ঢাকা থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত রেলপথ সংযোগ চাই
লেখকঃ শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন।
সারা বিশ্বব্যাপীই যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে রেলপথ।
নানাবিধ কারণে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থায় এতোদিন পর্যন্ত রেলপথ
নির্ভরশীলতার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠতে পারছিলো না। তবে বর্তমান সরকারের
সময়ে রেলের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের কারনে বাংলাদেশেও রেলপথ হয়ে উঠেছে
জনপ্রিয়তার শীর্ষে, যার বড় প্রমাণ পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা
ও ঈদ যাত্রার সময়। দু/ তিনদিন লাইনে দাড়িয়ে থাকে শুধু একটি টিকিটের আশায়।
টিকিট না পেলে সে কি আক্ষেপ!!!
বাংলাদেশে পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেলপথের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের
বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে, বিশেষ করে দূরবর্তী অঞ্চল সমুহের মধ্যে সকল
স্তরের যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে রেলপথ অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক।
বাংলাদেশের রেলপথের পরিমান প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
দেশের দূরবর্তী অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার জন্য রেলপথের
উদ্ভব হওয়া স্বত্বেও পদ্মার এপাড়ে ছোটোখাটো প্রত্যেকটি জেলাই কম-বেশি
রেলপথ দ্বারা সংযুক্ত হলেও সংযুক্ত হতে পারে নি কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো। যে দুএকজায়গায় রেলপথ ( লোকালভাবে) সংযুক্ত আছে
তার মান এতোই উচ্চপর্যায়ের যে, ১০ হাত দূরে ট্রেন থাকলেও লাইনে দাড়িয়ে
গো-দুধ দহন করে, নিরাপদে ট্রেনের আগে লাইন পার হওয়া যায়। এরকম রেললাইন
থাকা বা না থাকা সমান কথাই।
সবচেয়ে দরিদ্র জেলা কুড়িগ্রামের মানুষের জন্য রাজধানী পর্যন্ত যাতায়াত
বেশ সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল হওয়ার কারনে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ
উন্নয়ন গনকমিটি, সেবকবন্ধু সংগঠনসহ বেশ কিছু সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে কুড়িগ্রাম, চিলমারী হয়ে ঢাকা পর্যন্ত রেলসংযোগ দেয়ার জন্য
আন্দোলন করে আসছে। এখানে রেলসংযোগ হলে একদিকে যেমন বেঁচে যাবে সারাদেশের
সবচেয়ে দরিদ্র এই কুড়িগ্রামবাসীর যাতায়াত সময় এবং অর্থ, তেমনি প্রসার ঘটবে
এই এলাকার ব্যবসা বানিজ্যেরও। গতি পাবে সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রমও।
রাজস্বও আসবে প্রচুর।
যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন না করে, বারংবার নতুন করে স্থলবন্দরের উদ্বোধন
করা বা এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে বারংবার মন্ত্রী/ প্রধানমন্ত্রীর শুধু
কথা দিয়েই যাওয়া, এই এলাকার সহজ-সরল মানুষগুলোর সাথে ঠাট্টা বা মশকরা করা
ছাড়া আর কিছুই নয়।
এই কুড়িগ্রামবাসীও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকার নির্বাচিত
করেছে, রাষ্ট্রকে ভ্যাট দেয়ার ক্ষেত্রেও এই এলাকার মানুষ দু পয়সা কম দেয় নি
কখনো। অন্যান্য জেলার মতো এই এলাকার মানুষও আশা করে একটুখানি
উন্নয়নের, স্বপ্ন দেখে একটুখানি ভালোভাবে বেঁচে থাকার। বছর বছর লাইনে
দাঁড়িয়ে থেকে ত্রাণ নেওয়ার স্বপ্ন তারা কখনোই দেখে না। বঙ্গবন্ধুর সাথে
একাত্ম হয়ে তারাও স্বপ্ন দেখে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, বৈষম্যহীন এক
রাষ্ট্রব্যবস্থার। আদৌ কি তাদের এ স্বপ্ন পূরণ হবে??? দেখার অপেক্ষায়......।
-মোঃ শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন,
বিবিএ, ইন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (অধ্যয়নরত),
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর -৫২০০।
আমাদের সকল পোস্ট যথাসময়ে পেতে নিচের লাইক বাটন প্রেস করুন।
No comments:
Post a Comment